কাতার বিশ্বকাপে ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন, সতর্ক ফিফা
ফুটবল বিশ্বকাপের মতো বৃহৎ ও মর্যাদাপূর্ণ আসর আয়োজন করার গুরুভার পেয়েছে আরব উপদ্বীপের দেশ কাতার। তবে সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করতে পারার অভিযোগ এখন কাতারের দিকে। অবকাঠামো-স্বল্পতা এবং শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে কাতার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর অভিবাসী শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের গোমর ফাঁস করছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
পুরো বিশ্বকে এক করার মঞ্চ এই বিশ্বকাপের স্বাগতিক হিসেবে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। এমন সব অভিযোগ আন্তর্জাতিক মহলে কাতারের খ্যাতিকে নিচে নামিয়েছে। এর মধ্যে আবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগের তীর কাতারের দিকে। কৌশলগত রাজনৈতিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও বাহরাইনে অবস্থিত ব্রিটিনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক আমজাদ ১৭ নভেম্বর নিজের ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন।
সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্বকাপে ম্যাচ জিততে ইকুয়েডরের আট খেলোয়াড়কে ৭.৮ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৭৬ কোটি) ঘুষ দিয়েছে কাতার। বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র দুই দিন আগে এসব অভিযোগ বিশ্ব ফুটবলে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি এক টুইট বার্তায় এই খবরটি প্রকাশ করেন। ইকুয়েডরের আটজন খেলোয়াড়কে দেওয়া হয়েছে ঘুষ। ম্যাচের ব্যবধান ১-০ হবে তেমনটাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সেই ম্যাচ নির্ধারণী গোলটি হবে কাতারের পক্ষে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইকুয়েডর ও কাতারের বিশ্বস্ত পাঁচটি সূত্র থেকে একই ধরণের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ থেকে অন্তত আন্দাজ করে নেওয়া যায় ম্যাচ ফিক্সিং বিষয়টি একেবারেই ফেলে দেওয়ার মত নয়।