কাতার বিশ্বকাপে সম্ভবত খেলা হচ্ছে না পগবার

151

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

পগবার চোট গুরুতর, অস্ত্রোপচার করানো লাগতে পারে। আর অস্ত্রোপচার করালে নভেম্বরে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা কম।

এমন খবরের মধ্যে একটা আশার খবরও পেয়েছিল সমর্থকেরা। জানা গিয়েছিল, অস্ত্রোপচারের টেবিলে যেতে হবে না তাঁকে। সে ক্ষেত্রে বিশ্বকাপ খেলার ভালোই সম্ভাবনা থাকবে পগবার। কিন্তু জুভেন্টাসের কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি দুঃসংবাদটা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার ছাড়া মাঠে ফিরতে পারবেন না পগবা। জানুয়ারির আগে পগবার মাঠে ফেরার আশা করছেন না আলেগ্রি।

অস্ত্রোপচার না করানোর আশা নিয়ে অনুশীলনে ফিরেছিলেন পগবা। বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি মিডফিল্ডার অবশ্য অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারেননি। চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ রাতে পিএসজির মুখোমুখি হওয়ার আগে কাল সংবাদ সম্মেলনে আলেগ্রি বলেছেন, ‘চোট পড়ার পর পগবা দ্বিতীয়বারের মতো অনুশীলন করেছিল, তবে সে অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারেনি। এরপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পগবার অস্ত্রোপচার লাগবে।’

পগবা কাতার বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে আলেগ্রি সরাসরি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ খেলতে পারল কি পারল না, ওটা নিয়ে ভাবছি না। আমার মাথাব্যথা হলো, সে জানুয়ারির আগে জুভেন্টাসের হয়ে মাঠে ফিরতে পারছে না।’

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, পগবাকে এই চোট থেকে সারিয়ে তুলতে দুটি পথ খোলা আছে। একটি চিকিৎসাপদ্ধতি হলো, পগবার ডান হাঁটু থেকে মেনিসকাসের (হাঁটুর জয়েন্টের মধ্যে তন্তু বিশেষ) একটি অংশ বের করে ফেলতে হবে। এতে পগবাকে দুই মাস নিশ্চিতভাবেই মাঠের বাইরে থাকতে হবে।

এরপর সেরে ওঠার পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া এবং খেলায় ফেরার জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তবে এই অস্ত্রোপচারের একটি সমস্যা হলো, এটি মূলত কম বয়সীদের জন্য এবং দ্রুত চলাফেরায় সমস্যা হয়। অর্থাৎ ফুটবলারদের জন্য এই অস্ত্রোপচার তেমন সুবিধাজনক নয়।

আরেকটি চিকিৎসার পদ্ধতি হলো, মেনিসকাসে যেখানে আঘাত পেয়েছেন, সে জায়গাটা সেলাই করে দেওয়া। এই অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগে।

কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের প্রথম ম্যাচ ২২ নভেম্বর, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অন্তত আলেগ্রির কথা অনুসারে, পগবাকে তখন ফ্রান্সের মাঝমাঠে না দেখার সম্ভাবনাই বেশি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.