কাদিসকে উড়িয়ে শীর্ষে উঠল বার্সেলোনা

150

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

 

কাদিসের মাঠে শনিবার লা লিগার ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের গোলে সফরকারীরা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। আর অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে দুটি গোল করেন আনসু ফাতি ও উসমান দেম্বেলে।

পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠল বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আছে।

ফুটবল ঐতিহ্য কিংবা শক্তি-সামর্থ্য, কোনো দিক দিয়েই বার্সেলোনার ধারেকাছে নেই কাদিস। তবে দল দুটির সাম্প্রতিক মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলে চোখ রাখলে ধাক্কা খেতে হয়। এই ম্যাচের আগের চারবারের দেখায় একটিও জয় ছিল না বার্সেলোনার!

২০২০-২১ মৌসুমে কাদিসের মাঠে ২-১ গোলে হারের পর তারা লিগের ফিরতি দেখায় করেছিল ১-১ ড্র। আর গত মৌসুমে কাদিসের মাঠে গোলশূন্য ড্রয়ের পর ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা।

লা লিগায় সবশেষ তিন রাউন্ড ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আসর শুরুর ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে জয় পাওয়া বার্সেলোনাকে এ দিন শুরু থেকে ঠিক ছন্দে দেখা যায়নি। কারণ হতে পারে শুরুর একাদশে কোচের বেশ কিছু পরিবর্তন আনার ফল। তিন দিন বাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ম্যাচ থাকায় লেভানদোভস্কি ও দেম্বেলেসহ মূল খেলোয়াড়দের অনেককে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান শাভি।

ফলে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে আধিপত্য করলেও প্রথমার্ধে তেমন নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। অবশ্য এর জন্য কৃতিত্বের দাবিদার কাদিসের রক্ষণভাগ। প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগকে আটকে রাখতে দারুণ ভূমিকা রাখে দলটি।

দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটেই অবশ্য এগিয়ে যায় লা লিগার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ীরা। মৌসুমের শুরু থেকে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে কোচের আস্থা অর্জন করা গাভি ডানদিকের বাইলাইন থেকে গোলমুখে শট নেন। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বল চলে যায় অরক্ষিত ডি ইয়ংয়ের পায়ে, অনায়াসে বাকি কাজ সারেন ডাচ মিডফিল্ডার।

আক্রমণের ধার বাড়াতে এরপরই একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন করেন বার্সেলোনা কোচ। ফেররান তরেস, গাভি ও মেমফিস ডিপাইকে তুলে মাঠে নামান দেম্বেলে, পেদ্রি ও লেভানদোভস্কিকে।

মাঠে নামার কিছুক্ষণ পরই স্কোরলাইনে নাম লেখান দুর্দান্ত ছন্দে থাকা লেভানদোভস্কি। এই গোলটিও হয় প্রায় আগেরটির মতোই। রাফিনিয়ার ডান দিক থেকে নেওয়া শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে আটকান, তবে বল হাতে রাখতে পারেননি। জটলার মধ্যে বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি অন্যরাও। ক্ষিপ্র গতিতে ছুটে এসে আলগা বল জালে জড়ান পোলিশ তারকা।

বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জালের দেখা পেলেন লেভানদোভস্কি, মোট গোল হলো ৯টি। এর মধ্যে লা লিগায় গোল ৬টি।

৮২তম মিনিটে হঠাৎ খেলা থামিয়ে দেন রেফারি। শুরুতে কারণটা বোঝা যাচ্ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ পর জানা যায়, দর্শক সারিতে কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসা কর্মীরা দ্রুত এগিয়ে যান। প্রায় ২০ মিনিট ধরে রেফারি ও দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর খেলোয়াড়রা মাঠ ছেড়ে যান।

প্রায় এক ঘণ্টার পর ফের খেলা শুরু হতেই তৃতীয় গোল পায় বার্সেলোনা। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন লেভানদোভস্কি। এরপর গোলরক্ষককে এগিয়ে আসতে দেখে বাঁ দিকে খুঁজে নেন ফাতিকে। ফাঁকা জালে অনায়াসে বল পাঠান তরুণ এই ফরোয়ার্ড।

আর যোগ করা সময়ে শেষ গোলটি করেন দেম্বেলে। এই গোলেও জড়িয়ে আছে লেভানদোভস্কির নাম। তার পাস ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের মাঠে আগামী মঙ্গলবার লড়াইয়ে নামবে বার্সেলোনা, যে দলের বিপক্ষে সবশেষ তিন ম্যাচে ১৪টি গোল হজম করেছে কাম্প নউয়ের দলটি। বলা বাহুল্য, কোনো ম্যাচেই পারেনি ন্যূনতম লড়াই করতে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.