চেন্নাইয়ের আইপিএল জয় থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছিল শ্রীলঙ্কা
টসে জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে রান তাড়া করে জেতা এশিয়া কাপের প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছিল। ফাইনালের আগে হওয়া ১২ ম্যাচের মাত্র তিনবার আগে ব্যাট করা দল জিতেছিল। এর মধ্যে দুই ম্যাচে আবার পরাজিত দলটি ছিল আইসিসির সহযোগী সদস্য হংকং।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া লঙ্কানরা ৫৮ রানেই হারিয়েছিল ৫ উইকেট। সেখান থেকে ভূমিকা রাজাপাকসে ৪৫ বলে ৭১ ও ভানিডু হাসারাঙ্গা ২১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে দারুণভাবে টেনে তোলেন। ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পাওয়া শ্রীলঙ্কা বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে হয়ে ওঠে নজরকাড়া। পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে ঘরে তোলে শিরোপা।
লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা স্বীকার করেছিলেন যে, টসে হেরে তার দল প্রতিকূল অবস্থার ভেতর পড়েছিল। তবু তার কণ্ঠে ছিল জয়ের আশাবাদ।
শ্রীলঙ্কার জয়ের পর শানাকা জানালেন ভিন্ন এক কথা। ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে আইপিএলের খেলার আয়োজন সংযুক্ত আরব আমিরাতে করা হয়েছিল। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয়েছিল ফাইনাল। সেবার টসে হেরে আগে ব্যাট করে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ২৭ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চেন্নাই সুপার কিংস। আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল হিসেবে বিবেচিত চেন্নাইয়ের সেই জয় থেকেই শ্রীলঙ্কা নাকি দুবাইতে খুঁজে পেয়েছিল অনুপ্রেরণা।
ফাইনালের পর সংবাদ সম্মেলনে শানাকা বলেন, ‘আইপিএল- ২০২১ এ, চেন্নাই প্রথমে ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতেছিল। এটা আমার মনে ছিল। আমরা এটি নিয়ে কথা বলেছিলাম। ৫ উইকেট হারানোর পর পার্থক্য গড়েছে হাসরাঙ্গা-রাজাপাকসের ব্যাটিং। চামিকা করুনারাত্নে এবং ধনঞ্জয় ডি সিলভা সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। ২০তম ওভারের শেষ বলে রাজাপাকসের মারা ছক্কাটি ছিল টার্নিং পয়েন্ট। ১৭০ রান সসময় একটি লক্ষ্য।’
পেসার দিলশান মাদুশকার হাতে প্রথম ওভারে বল হাতে তুলে দিয়েছিলেন শানাকা। প্রথম ডেলিভারিটিই হয় নো বল। এরপর টানা ৪টি বল ওয়াইড। এর ভেতর একটি আবার উইকেটরক্ষকের নাগালের বাইরে দিয়ে চলে যায় সীমানার বাইরে। বৈধ ডেলিভারির আগেই পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে ওঠে ৯ রান। তারপরও মাদুশকার উপর থেকে অধিনায়কের আস্থা উঠে যায়নি।
‘আমি জানতাম তরুণরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে। সে শুরুতেই ভুল করতে পারে কিন্তু আমরা তাকে আস্থা ও বিশ্বাস দিয়েছি। এরপরে আমরা গুরুগম্ভীর আলোচনা করেছি। আমাদের ভালো মানের খেলোয়াড় আছে। তারা ভালো করেছে। সেখানেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’
শ্রীলঙ্কার ফিল্ডিং ছিল দেখার মতো। ৩০ গজ বৃত্তের ভেতর থেকে বাউন্ডারি লাইনের কাছে প্রতিটি ফিল্ডার নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। আউট হওয়া ১০ পাকিস্তানি ব্যাটারের মধ্যে সাতজনই ক্যাচে পরিণত হয়েছেন।
‘দলের দারুণ ফিল্ডিং নিয়ে শানাকার ভাষ্য, ফাইনালে পৌঁছানোর পথে আমরা ফিল্ডিংয়ে অনেক উন্নতি করেছি। আগে আমরা ভুল করেছি কিন্তু ফাইনাল সবসময়ই ফাইনাল।’
‘আমরা আজ নিজেদের শতভাগ দিয়েছি। খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের কৃতিত্ব দিতে হবে। আমাদের সমর্থন করার জন্য অবশ্যই ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। নির্বাচকদের অবদান ভুলে যাবেন না।’