নেইমারের গোলে শীর্ষে ফিরল পিএসজি
ম্যাচ জুড়ে আক্রমণে আধিপত্য করল পিএসজি। নেইমারের নৈপুণ্যে প্রথমার্ধে এগিয়েও গেল তারা। তারপরও ব্রেস্তের বিপক্ষে জাগে দলটির পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা। পেনাল্টি সেভ করে দলকে বাঁচান জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
নিজেদের মাঠে শনিবার লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। লঁসকে পেছনে ফেলে আবার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ফিরেছে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।
ম্যাচের নবম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় ব্রেস্ত। ডান দিক থেকে সতীর্থের পাসে দূরের পোস্টে পা ছোঁয়াতে পারেননি ইসলাম স্লিমানি।
পরের তিন মিনিটে দুটি সুযোগ হাতছাড়া হয় পিএসজির। প্রথমে মেসির ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি নেইমার। মেসির আরেকটি চমৎকার পাসে কাছ থেকে উড়িয়ে মারেন এমবাপে।
২৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের সামনে নেইমার ফাউলের শিকার হলে ব্রেস্তের ডিফেন্ডার ক্রিস্তফ এরেলকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। তবে ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত বদলান তিনি। কারণ, আক্রমণের শুরুতে অফসাইডে ছিলেন নেইমার।
পাঁচ মিনিট পরই মেসি-নেইমারের বোঝাপড়ায় এগিয়ে যায় পিএসজি। আর্জেন্টাইন তারকার দারুণ ক্রস ডি-বক্সে ডান পায়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
এবারের লিগ ওয়ানে সাত ম্যাচে ৮ গোল নিয়ে এককভাবে শীর্ষে উঠে গেলেন নেইমার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯ ম্যাচে তার গোল হলো ১০টি।
গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম ম্যাচে ইউভেন্তুসের বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতা পিএসজি বিরতির আগে ব্যবধান বাড়াতে পারত। এমবাপের কোনাকুনি শট ফিরিয়ে দেন সফরকারী গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে বাধ সাধে দুর্ভাগ্য। বাঁ দিক থেকে এমবাপের ক্রসে ডি-বক্সে লাফিয়ে মেসির নেওয়া হেড পোস্টে লাগে। ৫৮তম মিনিটে বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে।
৭০তম মিনিটে পিএসজির প্রেসনেল কিম্পেম্বে নিজেদের বক্সে প্রতিপক্ষের একজনকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্লিমানির শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন দোন্নারুম্মা।
৭ ম্যাচে ৬ জয় ও এক ড্রয়ে পিএসজিত পয়েন্ট হলো ১৯। সমান ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে লঁস। এক ম্যাচ কম খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে মার্সেই।