পাঁচ ক্রিকেটারকে ছাঁটাই করছে মুস্তাফিজদের দিল্লি
দিল্লি এবার ছাঁটাই করতে যাচ্ছে পাঁচ ক্রিকেটারকে, যাদেরকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে দলে ভিড়িয়েছিল মেগা অকশনে। দুইজন উইকেটকিপার ব্যাটারকেও ছেড়ে দিচ্ছে দিল্লি। ফলে অন্তত একজন নতুন উইকেটকিপারকে খুঁজবে দলটি।
আগামী মাসে আইপিএলের মিনি অকশন। ফ্রাঞ্চ্যাইজিগুলো শুরু করেছে হিসাব-নিকাশ। কাকে রাখবেন আর কাকে বাদ দিবেন, নতুন করেই বা কাকে দলে টানবেন শুরু হয়েছে সেই পরিকল্পনা। মিনি অকশনেও বড়সড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে মুস্তাফিজদের দল দিল্লি। গত আসরের পারফরম্যান্সে যে মালিকপক্ষ খুশি হয়নি তা বুঝাই যাচ্ছে। সেই জন্যই তো মিনি অকশনেও এত পরিবর্তনের কথা ভাবছে তারা।
দিল্লি এবার ছাঁটাই করবে পাঁচ ক্রিকেটারকে। যাদের মধ্যে আছেন চারজন ভারতীয় ক্রিকেটার ও একজন বিদেশি ক্রিকেটার। পারফরম্যান্সের বিচারেই তাদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ভারতীয় চার দুর্ভাগা ক্রিকেটার হলেন শার্দুল ঠাকুর, শ্রীকর ভরত, মনদীপ সিং ও অশ্বিন হেব্বার। শ্রীকর, মনদীপ কিংবা হেব্বার বড় নাম না হলেও শার্দুল ঠাকুর বড় নামে। যাকে ভারতীয়রা ডাকেন ‘লর্ড শারদুল’।
হঠাৎ করেই ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করছিলেন শারদুল। ভারতকেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতিয়েছেন। তারপরই তার চাহিদা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়েছিল আইপিএলের অকশনেও। শারদুলকে দলে ভেড়ানোর জন্য দলগুলো উঠেপড়ে লেগেছিল। দিল্লি সেই দৌঁড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। সবাইকে টক্কর দিয়ে শারদুলকে দলে ভেড়াতে দিল্লি খরচ করেছিল ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপি। এর আগে কখনোই শারদুলের দাম এত বেশি ওঠেনি। ফলে তাকে নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল।
সেই সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিতে পারেননি শারদুল। পারফরম্যান্স ছিল বড়ই বাজে। বল হাতে ১৪ ম্যাচে ১৫টি উইকেট পেলেও ছিলেন খরুচে। আর ব্যাট হাতে তো আশা পূরণের ধারেকাছেও যেতে পারেননি। মাত্র ৯.৭৯ গড়ে করেন ১২০ রান। আইপিএলে মাথায় উঠতেও যেমন সময় লাগে না, তেমনি পায়ের তলে যেতেও বেশি সময় লাগে না। তাইতো শারদুলকে ছেড়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি।
এছাড়া ভরত, মনদীপ এবং হেব্বারকেও ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে দলটি। ভরত ও মনদীপ গত আসরে বলার মতো পারফর্ম করতে পারেননি। অপরদিকে হেব্বার সুযোগ পাননি একটি ম্যাচেও। কোনো সুযোগ না পেয়েই ছাঁটাই হতে যাচ্ছেন তিনি।
ছাঁটাইয়ের তালিকায় থাকা একমাত্র বিদেশি ক্রিকেটার হলেন টিম সাইফার্ট। তিনিও গত আসরে প্রত্যাশার পারদ মেটাতে পারেননি। ফলে এই কিউই ক্রিকেটারকেও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। ভরত ও সাইফার্ট দুইজনই উইকেটকিপার। অপরদিকে দলের অধিনায়ক রিশাভ পান্টও উইকেটকিপার। অর্থাৎ ভরত ও সাইফার্ট মূলত ব্যাকআপ উইকেটকিপার হিসেবেই দলে ছিলেন। তাদেরকে ছেড়ে দিলে নতুন উইকেটকিপার খুঁজতে হবে দিল্লিকে।
বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে উইকেটকিপার নিতে চাইলে কিন্তু দলটির হাতে সুযোগ আছে বাংলাদেশের লিটন দাসের কথা ভেবে দেখার। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে টর্নেডো ইনিংস খেলে কিন্তু লিটন ঠিকই নিজের জাত চিনিয়েছেন। এবার তার সুযোগ আসতেও পারে আইপিএলের অকশনে ওঠার।