ফাইনালের স্বপ্ন এনরিকের
জাভি-ইনিয়েস্তা-ভিয়ারা সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন স্পেনকে। ২০০৮ ইউরো, ২০১০ বিশ্বকাপের পর ২০১২ ইউরো জিতে সময়ের সেরা দল হয়ে উঠেছিল স্পেন। ‘তিকিতাকা’র জাদুতে ফুটবলপ্রেমীদের মোহিত করে রেখেছিলেন তাঁরা। সেই অদ্যম স্পেন কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। গত ১০ বছর ধরে কোনো শিরোপা নেই তাদের। এবারের বিশ্বকাপেও ফেভারিটদের তালিকায় নেই স্পেন। দলে নেই কোনো সুপারস্টার, অধিকাংশই তরুণ। তবে কোচ লুইস এনরিক এই তারুণ্যদীপ্ত দলটিকে নিয়েই বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছেন।
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে জর্ডানকে ৩-১ গোলে হারায় স্পেন। গোল করেন তিন তরুণ আনসু ফাতি, গাভি ও নিকো উইলিয়ামস। এ তরুণরা ছন্দে আছেন বলেই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন এনরিক, ‘ফিফা র্যাংকিংয়ে আমরা সপ্তম। আমাদের লক্ষ্য কাতারে সাতটি ম্যাচ (ফাইনাল) খেলা। জর্ডানের বিপক্ষে আমরা বেশ ভালো খেলেছি। যদিও বিশ্বকাপের এত কাছাকাছি এসে ম্যাচ খেলার সেরা সময় এটি নয়। ফলাফল আজ সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে জয় সব সময়ই ভালো অনুভূতি দেয়।’
এনরিকের স্কোয়াডে থিয়াগো আলকানতারা, সার্জিও রামোসের মতো অভিজ্ঞ তারকারা বাদ পড়লেও আনসু ফাতির মতো তরুণরা জায়গা পেয়েছেন। ২০ বছর বয়সী ফাতির প্রতিভা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কিন্তু তিনি ভীষণ চোট-প্রবণ। চোটের কারণে এবারের মৌসুমে বার্সার হয়ে মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলেছেন। এমন অবস্থায় বিশ্বকাপ দলে তাঁর ডাক পাওয়াটা অনেককেই অবাক করেছে। তবে এনরিক ফাতিকে নিয়ে ভীষণ আশাবাদী, ‘আমি সবাইকে বলেছি, ফাতিকে চোট থেকে ওঠা খেলোয়াড় বলবেন না। তার চোট অতীত হয়ে গেছে। গত জুনের চেয়ে এখন সে বেশ ভালো অবস্থায় আছে। আজ তার গোল পাওয়া অবশ্যই দারুণ খবর।’ বিশ্বকাপে ফাতিকে সেরা ফর্মে দেখা যাবে বলেও বিশ্বাস কোচের।
সার্জিও বুসকেট ও জডি আলবার সঙ্গে স্পেনের স্কোয়াডে অভিজ্ঞদের একজন হলেন লেফটব্যাক হোসে গায়া। তবে গতকাল অভিজ্ঞ এ ডিফেন্ডার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন। তাঁর বদলে ডেকে পাঠানো হয়েছে বার্সেলোনার টিনেজার আলেজান্দ্রো বালদেকে। গত বুধবার অনুশীলনের সময় গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন গায়া। দুই দিন পর্যবেক্ষণের পর গতকাল তাঁকে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় স্পেন। ১৯ বছর বয়সী বালদে বার্সার হয়ে এবার বেশ ভালো খেলেছেন।