বাবরের নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন মিসবাহ-ইউনুসরা

54

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

মেলবোর্নের ফাইনালে ইংল্যান্ডের ইনিংসে লম্বা সময় ধরে উইকেটে ছিলেন বেন স্টোকস। এই বাঁহাতি ব্যাটার উইকেটে থাকার কারণেই হয়তোবা বোলিংয়ে দেখা যায়নি মোহাম্মদ নাওয়াজকে। তবে বাবর আজমের এমন সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে মনে করেন পাকিস্তানের বেশ কয়েক জন সাবেক ক্রিকেটার। মিসবাহ উল হক, ওয়াকার ইউনুস এমনকি শোয়েব মালিকও পাকিস্তান অধিনায়কের এমন সিদ্ধন্তের সমালোচনা করেছেন।

পাকিস্তানের দেয়া ১৩৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ইংল্যান্ড। যেখানে শুরুর ওভারে অ্যালেক্স হেলসকে হারালেও জস বাটলারের ব্যাটে দারুণ শুরু করে ইংলিশরা। কিন্তু ব্যাক্তিগত ৩০ রান পেরোনোর আগেই বাটলারকেই সাজঘরে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে খেলায় ফেরান হারিস রিউফ।

তবে বেন স্টোকসের ঝলকে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেননি পাকিস্তান। এই অলরাউন্ডার এক প্রান্ত আগলে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। অবশ্য শেষটা একটু ভিন্ন রকমও হতে পারতো। যদি শাহিন আফ্রিদি চোটে পড়ে মাঠ না ছাড়তেন।

পায়ের আঙুলে চোট পেয়ে নিজের কোটার ২.১ ওভার বল করে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান আফ্রিদি। তার অসমাপ্ত ওভার করতে তখন ডাকা হয় ইফতিখার আহমেদকে। যেখানে পাঁচ বলেই ম্যাচের মোমেন্টাম পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। এই পাঁচ বলের মধ্যে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের সমীকরণ অনেকটাই সহজ করে ফেলেন স্টোকস।

ইফতিখারের ৫ বল থেকে ১৩ রান নেয় ইংল্যান্ড। ওই সময় উইকেটে ছিলেন দুই বাঁহাতি স্টোকস ও মঈন আলি। তাই হয়তোবা বাঁহাতি স্পিনার নাওয়াজকে বোলিংয়ে আনেননি বাবর। পাকিস্তানের ‘এ’ স্পোর্টসের টক শোতে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। এক দর্শকদের প্রশ্ন ছিল, ‘নাওয়াজের ভূমিকা কি বোলিং না ব্যাটিং?’

উত্তরে মিসবাহ বলেন, ‘তার ভূমিকা তো পরিষ্কার। তার মূল কাজ বোলিংই। কিন্তু যখন আমরা চার-পাঁচ পেসার খেলানো শুরু করেছি তার বোলিংটা আড়ালে পড়ে গেছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সে বল করেছিল, এবং ওদের মূল ব্যাটার গ্লেন ফিলিপসের উইকেট এনে দিয়েছিল। আজকে যেভাবে টার্ন হচ্ছিল তাকে আক্রমণে নিয়ে না আসা…(অবাক)। আমার মনে হয়েছে শাদাবের সঙ্গে অন্তত এক ওভার তাকে দিয়ে করানো উচিত ছিল। করালে বুঝতেন সে উইকেটে কি করতে পারত। আপনার রিসোর্সকে ব্যবহার করতে হবে তো।’

ওয়াকার ইউনুস যোগ করেন, ‘সে কিন্তু অনিয়মিত বোলার না, সে নিয়মিত বোলার। ইফতেখার যেমন নিয়মিত না, মাঝে মাঝে ঠেকার কাজ করে দেয়। নাওয়াজ তো বোলিংয়ের চাপ নিতে পারে। প্রতিপক্ষকে ডট বলের চাপ দিতে পারে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.