ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন, বিস্ফোরক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে গিয়েছিলেন নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার লক্ষ্যে। কিন্তু সেখানে বিশেষ সাফল্য পাননি। ছন্দে ফেরার লক্ষ্যে পুরনো ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে দ্বিতীয়বার যোগ দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফিরে প্রথমবারের সাফল্যের ধারেকাছেও নেই। এমনকী, দলে যে তিনি অপরিহার্য নন, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ম্যানেজার এরিক টেন হ্যাগ। প্রকাশ্যে ম্যানেজারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় ‘সিআর ৭’-এর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের ঠিক আগে ক্লাবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এই তারকা। তিনি ইংল্যান্ডের এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘২০১৩ সালে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন অবসর নেওয়ার পর থেকে ক্লাবের বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। ক্লাবের কোচ এবং আর দু-তিনজন চাইছে আমি দল ছাড়ি। আমি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি বলে মনে হচ্ছে। ক্লাব এগজিকিউটিভরাও এর সঙ্গে যুক্ত আছেন কি না আমি জানি না। এতে আমার কিছু যায় আসে না। সবার সত্যিটা জানা উচিত। আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। কয়েকজন চাইছে না আমি এই ক্লাবে থাকি। গত বছর থেকেই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে।’
রোনাল্ডো আরও বলেছেন, ‘ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কী চলছে আমি জানি না। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ক্লাব ছাড়ার পর থেকে আমি কোনও উন্নতি দেখিনি। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাব যেভাবে ওলে গুনার সোলসকারকে ম্যানেজার পদ থেকে ছাঁটাই করেছে, তাতেই ক্লাবের অব্যবস্থা প্রকট হয়ে গিয়েছে। স্পোর্টিং ডিরেক্টর হিসেবে র্যাল্ফ র্যাংনিককে কেন নিয়োগ করা হয়েছে, সেটা কেউই জানে না। তিনি কোচও নন। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাব স্পোর্টিং ডিরেক্টর নিয়োগ করায় শুধু আমি না, সারা বিশ্ব অবাক হয়েছে। এত বছরে ক্লাবের জাকুজি, সুইমিং পুল, জিম, কিছুই উন্নত হয়নি। আমি আশা করেছিলাম উন্নত প্রযুক্তি ও পরিকাঠামো দেখতে পাব। কিন্তু আমি হতাশ হয়েছি। আমি ক্লাবের ভাল চাই। সেই কারণেই এখানে এসেছি। কিন্তু ক্লাবের মধ্যেই এমন কিছু হচ্ছে, যা আমাদের সেরা ক্লাব হতে দিচ্ছে না। সমর্থকদের সত্যিটা জানা দরকার।’