স্বস্তির জয় বাংলাদেশের

118

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

বাংলাদেশের করা ১৪৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের বেশি করা সম্ভব হয়নি ডাচ ব্যাটারদের পক্ষে। এতে করে জয়ের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে টাইগাররা।

অবশেষে এল স্বস্তির জয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরের মূল পর্বে এক ম্যাচ না জেতা বাংলাদেশ চলতি আসরের শুরুটা করেছে জয় দিয়ে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়েছে সাকিববাহিনী।

২০০৭ সালের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। ১৫ বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল মাশরাফি মোর্ত্তজার দল।

সোমবার সকালে হোবার্টে, বাংলাদেশের করা ১৪৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের বেশি করা সম্ভব হয়নি ডাচ ব্যাটারদের পক্ষে। পুরো ম্যাচে বৃষ্টির চোখ রাঙানি থাকলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফলে তা আর কোনো পার্থক্য গড়ে দেয়নি।

বেশ কয়েকবার খেলা বন্ধ হলেও কিছুক্ষণ পরই তা আবার শুরু হয়েছে। ফলে, আম্পায়ারদের ওভার কমাতে হয়নি বা বৃষ্টি আইনের সহায়তা নিতে হয়নি।

এতে করে জয়ের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে টাইগাররা।

বাংলাদেশের দেয়া চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বল থেকে বিপর্যয় সঙ্গী হয় নেদারল্যান্ডসের। তাসকিন আহমেদ স্পেলের শুরু করেন ডাচ ওপেনার বিক্রমজিত সিংকে তুলে নিয়ে। দুর্দান্ত এক ক্যাচে ইনিংসের প্রথম বলে ইয়াসির আলী রাব্বির কল্যাণে মাঠ ছাড়েন তিনি।

পরের বলটি উইকেটের পেছনে জমা পড়ে নুরুল হাসান সোহানের হাতে। তার আগে সেটি ছুঁয়ে যায় বাস ডি লিডের ব্যাট। আর তাতে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ডাচদের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।

শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাকিব আল হাসানের প্রথম বলে হাঁকিয়ে বসেন ছক্কা। পরের বলেই আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত রান আউটে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় ডাউডকে।

এক বল বাদে ফের উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টম কুপারকে। চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ডায়মন্ড ডাক মারা ক্রিকেটার হিসেবে নাম লিখিয়ে মাঠ ছাড়েন ডাচ ব্যাটার।

আর তাতে ১৫ রানে ৪ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪ উইকেটের খরচায় স্কোরবোর্ডে ৩২ রান তুলতে সক্ষম হয় ডাচরা।

পাওয়ার প্লেতে ধুঁকতে থাকা নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন কলিন একারম্যান ও স্কট এডওয়ার্ডস। দুজনে মিলে উইকেট আগলে ধরে দলকে টেনে তুলতে থাকেন খাদের কিনারা থেকে।

থিতু হয়ে বসা এই জুটি ভাঙ্গে ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে এসে সাকিব আল হাসানের হাত ধরে। টাইগার দলপতি দাচ দলপতি স্কট এডওয়ার্ডসকে ১৬ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন।

সঙ্গী বিদায় নিলেও খেই হারাননি একারম্যান। মারকুটে ব্যাটিংয়ে তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম অর্ধশতক। উইকেটের এক প্রান্ত তিনি আগলে ধরে রাখলেও অপরপ্রান্তে চলতে থাকে আসা যাওয়ার মিছিল।

৪৮ বলে ৬২ রান করা একারম্যানকে ফিরিয়ে নেদারল্যান্ডসের শেষ আশাটুকু নিভিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ।

শেষ পর্যন্ত সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয় নেদারল্যান্ডস। আর তাতেই টাইগাররা পায় স্বস্তির জয়।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। হাসান মাহমুদ নেন ২টি আর সাকিবের ঝুলিতে যায় একটি উইকেট।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় বাংলাদেশের। ৩০ ম্যাচ পর উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে চল্লিশোর্ধ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত আর সৌম্য সরকার মিলে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে এনে দেন ৪৩ রান।

ভালো শুরু পর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৪ বলে ১৪ রান করা সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু আনেন পল ফল মিকেরেন।

এরপর ধস নামে বাংলাদেশের লাইনআপে। স্কোরবোর্ডে ৭৬ রান তুলতে নেই আরও ৪ উইকেট।

আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.