যে কারণে অলিম্পিকে খেলতে গিয়ে পালালেন উগান্ডার অ্যাথলেট

410

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

অলিম্পিকে খেলতে জাপানে যাওয়ার পর উগান্ডার অ্যাথলেট জুলিয়াস সেকিতোলেকো পালিয়ে গেছেন। এবার এই তরুণ ভারোত্তোলকের পালিয়ে যাওয়ার পেছনের কারণও প্রকাশ্যে এলো।

টোকিওতে উগান্ডার অলিম্পিক দলের সঙ্গেই অবস্থান করছিলেন সেকিতোলেকো। দলের সঙ্গে ইজুমিসানোতে অনুশীলনও করছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে থাকতেই তিনি জানতে পারেন, ভারোত্তোলন ইভেন্টে তার কোটা পাওয়া হচ্ছে না। ফলে অলিম্পিকের মূল আসরে খেলার সম্ভাবনাও ছিল না তার। অর্থাৎ না খেলেই বাড়ি ফিরতে হতো তাকে। কিন্তু ঝামেলার সূত্রপাত আরও পরে।

শুক্রবার দলের বাকিদের সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কথা ছিল সেকিতোলেকো। কিন্তু তিনি যাননি। পরে হোটেল রুমেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইজুমিসানো শহরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়। শহরের পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল।

এবার জানা গেল তার নিখোঁজ হওয়ার কারণ। মাত্র ২০ বছর বয়সে আফ্রিকা ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জেতা সেকিতোলেকো দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠেছেন। এ কারণেই উগান্ডার কঠিন জীবনে ফিরে যেতে চান না তিনি। এমনকি পালানোর সময় হোটেল রুমে একটি চিরকুটও ফেলে রেখে যান তিনি। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আমি জাপানেই থেকে যেত চাই, কারণ উগান্ডার জীবন অনেক কষ্টের। ‘

জাপানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কাউকে না জানিয়েই হোটেলরুম থেকে বেরিয়ে যান সেকিতোলেকো। এরপর তিনি টোকিও থেকে বুলেট ট্রেনযোগে ২০০ কিলোমিটার দূরের স্টেশন নাগওয়ায় নেমে যান। এরপর থেকে তিনি লাপাত্তা।

এদিকে দলের সদস্যদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে জাপানে নিজের ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলো উগান্ডায় তার স্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সেকিতোলেকো। তবে কি কি সরঞ্জাম তিনি হোটেলে রেখে গেছেন তা জানা যায়নি। তবে শুক্রবার রাতে একবার দলের এক কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু তিনি পালিয়ে কোথায় গেছেন তা অবশ্য খোলাসা করেননি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.