অলিম্পিক ভিলেজে করোনার হানা
টোকিও অলিম্পিক ঘিরে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। এবার আয়োজকদের পক্ষ থেকে শনিবার অ্যাথলেটদের ভিলেজে প্রথম করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি অ্যাথলেট নন বলে জানিয়েছে অলিম্পিক আয়োজক কমিটি। ওই ব্যক্তি অন্য দেশ থেকে অলিম্পিকে কাজ করতে এসেছিলেন। টোকিওতে আসার আগে তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু শুক্রবার নিয়মিত পরীক্ষায় তার শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়। তবে তার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
শনিবার গেমসের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও ১৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ঠিকাদার ৭ জন, গেমসের কর্মী ৫ জন এবং গণমাধ্যমের ২ জন। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত গেমসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সর্বশেষ করোনা পজিটিভ হওয়া ব্যক্তি টোকিও বে-এর একটি কৃত্রিম দ্বীপে অ্যাথলেটদের অবস্থানের জন্য নির্মিত অলিম্পিক ভিলেজে কাজ করতেন। এর আগে একজন অ্যাথলেটও আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু অলিম্পিক ভিলেজের ভেতরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। ফলে অ্যাথলেটদের মধ্যেও দুশ্চিন্তা ভর করেছে বলে স্বীকার করেছে আয়োজক কমিটি। ভিলেজের জৈব রুক্ষা বলয় নিয়েও তাই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
করোনা মহামারির কারণে এক বছর পিছিয়ে যাওয়া টোকিও অলিম্পিক আগামী ২৩ জুলাই মাঠে গড়াবে। এরপর আগামী ৮ অগাস্ট পর্দা নামবে। প্রায় দর্শকবিহীনভাবেই গড়াবে এবারের আসর। এ উপলক্ষে জাপানে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের অ্যাথলেটরা। কিন্তু মহামারিকালে বৈশ্বিক ক্রীড়াযজ্ঞের সর্ববৃহৎ আসরের আয়োজন চিন্তায় ফেলে দিয়েছে জাপানের নাগরিকদের।
জাপানের করোনা পরিস্থিতি ততটা খারাপ না হলেও রাজধানী টোকিওতে এর প্রকোপ ঊর্ধ্বমুখী। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৮ লাখের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১৫ হাজার মানুষ। তাছাড়া দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ এখনও টিকার আওতার বাইরে রয়ে গেছেন। ফলে এই সময় অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে জাপান। যদিও অলিম্পিক কমিটি কিছুতেই আসর পেছানো হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।