বিশ্বকাপের খেলা চলাকালীন লোডশেডিং থাকবে না!
কাতারে শুরু হচ্ছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ফিফা বিশ্বকাপ। সারা বিশ্বের শত শত কোটি মানুষ টিভি পর্দায় প্রায় সব খেলাই উপভোগ করবেন, বাদ পড়বে না বাংলাদেশও।
কিন্তু বাংলাদেশের দর্শকরা লোডশেডিং পরিস্থিতির কারণে প্রিয় দলের খেলা দেখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে- লোডশেডিং পরিস্থিতি এখন নেই বললেই চলে। আর বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা চলাকালে কোথাও লোডশেডিং যেন না হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) সূত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে ডিপিডিসি এলাকায় কোনো লোডশেডিং নেই। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত থাকায় লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে সরকারের ন্যাশনাল লোড ডেসপাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) বিদ্যুৎ বরাদ্দের ভিত্তিতে কোনো কোনো এলাকায় লোডশেডিং আরোপিত হতে পারে। লোডশেডিংয়ের হালনাগাদ তথ্য জানার জন্য সময়ে সময়ে ডিপিডিসির ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান জানান, শীতকাল শুরু হওয়ায় এমনিতেই বিদ্যুতের চাহিদা কমেছে। এনএলডিসির বরাদ্দের ওপর ডিপিডিসির লোডশেডিং পরিস্থিতি নির্ভর করে। বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিলে অর্থাৎ সরবরাহ কম পাওয়া গেলে লোডশেডিং করতে হয়। পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া গেলে লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন হয় না। এক মাস আগেও রাত ও দিন মিলিয়ে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল।
প্রায় ১ মাস ধরে ডিপিডিসির এলাকায় লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন হচ্ছে না। এক মাস আগেও ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হয়েছে। এখন ঘাটতি না থাকায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আশা করছি ডিপিডিসির গ্রাহকরা বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলা চলাকালে লোডশেডিংয়ের সমস্যায় পড়বেন না। ঘাটতি দেখা দিলেও খেলার সময় যেন লোডশেডিং করা না হয় সেজন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।